আমলকী খাওয়ার উপকারিতা
এই মৌসুমে প্রচুর পরিমাণে ফল ও সবজি পাওয়া যায় যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। আমলকীও এমনই একটি ফল, যা ভারতসহ বিশ্বের অনেক দেশেই অনেক ধরনের স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্য খাওয়া হয়। আমলকী আচার বা মুরাব্বা শুধু স্বাদেই অসাধারন নয়, এর প্রতিদিনের সেবন চোখ ও ত্বকের পাশাপাশি অন্যান্য অঙ্গের স্বাস্থ্যও ভালো রাখে। বিশেষজ্ঞরা ডায়াবেটিসের মতো রোগে আমলকীর রস খাওয়ার পরামর্শ দেন। গবেষণায় দেখা গেছে যে আমলকীতে প্রচুর পরিমাণে এই জাতীয় অনেক পুষ্টি পাওয়া যায়, যা স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
![]() |
আমলকী খাওয়ার উপকারিতা |
আমলকী পুষ্টিগুণে ভরপুর
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী আমলকী
হার্ট সুস্থ রাখে আমলকী
আমলকী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
আমলকীর অন্নান্য পুষ্টিগুণ
- প্রতিদিন আমলকীর রস খেলে নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ দূর হয় এবং দাঁত শক্ত থাকে।
- আমলকীর টক ও তেতো মুখে রুচি ও স্বাদ বাড়ায়। রুচি বৃদ্ধি ও খিদে বাড়ানোর জন্য আমলকী গুঁড়োর সঙ্গে সামান্য মধু ও মাখন মিশিয়ে খাওয়ার আগে খেতে পারেন।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং মানসিক চাপ কমায়।
- কফ, বমি, অনিদ্রা, ব্যথা-বেদনায় আমলকী অনেক উপকারী।
- ব্রঙ্কাইটিস ও এ্যাজমার জন্য আমলকীর জুস উপকারী।
- শরীর ঠাণ্ডা রাখে, শরীরের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে, পেশী মজবুত করে।
- এটি হৃদযন্ত্র, ফুসফুসকে শক্তিশালী করে ও মস্তিষ্কের শক্তিবর্ধন করে। আমলকীর আচার বা মোরব্বা মস্তিষ্ক ও হৃদযন্ত্রের দুর্বলতা দূর করে।
- শরীরের অপ্রয়োজনীয় ফ্যাট ঝরাতে সাহায্য করে।
- লোহিত রক্তকণিকার সংখ্যা বাড়িয়ে তুলে দাঁত ও নখ ভাল রাখে।
- এর এ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ফ্রি র্যাডিকালস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। বুড়িয়ে যাওয়া ও সেল ডিজেনারেশনের অন্যতম কারণ এই ফ্রি র্যাডিকালস।
- সর্দি-কাশি, পেটের পীড়া ও রক্তশূন্যতা দূরীকরণে বেশ ভালো কাজ করে।
- ব্লাড সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রেখে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। কোলেস্টেরল লেভেলেও কম রাখাতে যথেষ্ট সাহায্য করে।
আমলকী খাওয়ার নিয়ম
কাঁচা আমলকি ছোট ছোট টুকরো করে অল্প গরম জলে মিশিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। আমলকী মিশ্রিত জল সকালে খালি পেটে পান করুন। পরে আমলকীর টুকরোগুলোও খেয়ে ফেলুন।দাবিত্যাগ: আমাদের food বিভাগে প্রকাশিত সমস্ত পোস্ট বিশেষজ্ঞ এবং প্রতিষ্ঠানের সাথে আলাপ আলোচনা ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। এই পোস্টি লেখার সময় তাঁদের সমস্ত নির্দেশাবলী অনুসরণ করা হয়েছে। এই পোস্টি পাঠকের জ্ঞান ও সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য লেখা হয়েছে। আমাদের ব্লগে প্রদত্ত তথ্য ও তথ্যের বিষয়ে কোন দাবী বা দায়িত্ব নেয় না। এই পোস্টে উল্লিখিত বিষয় সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানার জন্য আপনার ডাক্তার বাবুর সাথে পরামর্শ করুন।